যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় তিন কিশোর আহত হয়েছে।
সোমবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের আনসার সদস্যরা আহতদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।আহতরা হলো- পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার মরিচাল গ্রামের হুসাইন, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি এলাকার লিমন হোসেন (১৮) ও ফরিদপুর জেলার নগরকান্দি এলাকার ইকরাম হোসেনের ছেলে ইমারত শেখ। হুসাইন হত্যা, লিমন চুরি ও ইমারত শেখ অপহরণ মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি হিসেবে রয়েছে।আহত তিন কিশোর শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহম্মেদ তারেক শামস।শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দি তপু ও পাভেলের একটি পক্ষ রয়েছে। তারা কেন্দ্রের ভেতরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। কেউ তাদের কথা না শুনলে নির্যাতন করে। রোববার রাত ৮টার দিকে তারা হুসাইন নামের এক বন্দিকে মারধর করে।তারপর হুসাইন কেন্দ্রের উপপরিচালক জাকির হোসেনের কাছে অভিযোগ করে। এ ঘটনার জেরে সোমবার দুপুরে হুসাইনকে পাভেল ও তপু বাহিনী হাতুড়ি-রড দিয়ে মারধর করতে থাকে। লিমন ও ইমারত তখন হুসাইনকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়।যশোরে পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন বন্দিকে গুরুতর অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী নিয়ে বন্দিরা মারামারি করেছে সেটা জানতে পারিনি। এই ঘটনায় কারা জড়িত সেটার তদন্ত চলছে।’